শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৩ অপরাহ্ন

আরিফুল বীরত্বে শেষ ওভারে দারুণ জয় খুলনার

তরফ স্পোর্টস ডেস্ক : ১৫২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে স্কোর বোর্ডে চার রান যোগ হতেই দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও ইমরুল কায়েস প্যাভিলিয়নে ফেরত যান। এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৭ রান করে বিদায় নেন।

প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে বল হাতে ভালো করলেও ব্যাট হতে ভালো করতে পারেন নি সাকিব। ১৫ রান করেই ফিরে যান তিনি। জহরুল ইসলাম ৩১ রান করে আউট হলে ৭৮ রানে পাঁচ উইকেট হারায় খুলনা।

ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে পড়ে খুলনা। ষষ্ঠ উইকেট ৪৪ রান যোগ করে চাপ পড়া দলকে জয়ের পথে রাখেন আরিফুল হক ও শামিম হাসান। শামিম দলীয় ১২২ রানের মাথায় ২৬ রান করে আউট হলে চাপ আরও বাড়ে।

চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচের নাটকীয়তা ঘনিয়ে আসে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য খুলনার দরকার ছিল ২২ রান। এক প্রান্ত আগলে ব্যাট করতে থাকা আরিফুল নিলেন সেই চ্যালেঞ্জটা। মিরাজের করা প্রথম দুই বলে ছক্কা হাকিয়ে জয়ের বেশ কাছে নিয়ে যান আরিফুল। তৃতীয় বলে মারতে গেলে বল লং অফে চলে যায় কিন্তু রান নেন নি তিনি। এরপর চার ও পাঁচ নম্বর বলে দুটি ছয় মেরে দলকে দারুণ জয় এনে দেন আরিফুল। ৩৪ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

বরিশালের তাসকিন আহমেদ ও সুমন খান দুটি এবং মিরাজ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি একটি করে উইকেট নেন।

মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেন করতে নামা মেহেদি হাসান মিরাজের উইকেট তুলে নেন শফিউল ইসলাম। অধিনায়ক তামিম ইকবালও ব্যর্থ হন। ১৫ রানে বিদায় নেন তিনি। এরপর প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে আফিফ হোসেনের উইকেট তুলে নেন সাকিব।

খুলনার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সুবিধা করতে পারছিলনা বরিশাল। তবে পারভেজ হোসেন ইমন ঠিকই দলের রানের চাকা সচল রাখেন। ৪১ বলে অর্ধ শতকও তুলে নেন তিনি। তবে ইনিংসটা আর বড় করতে পারেনি। অর্ধ শতকের পরের বলেই দলীয় ৮১ রানের মাথায় ৫১ রান করে আউট হন ইমন।

ইরফান শুক্কুর ১১ রান করে বিদায় নেন। এরপর বাকি ব্যাটসম্যানরা আর কেউ বড় রানের দেখা না পেলে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে  উইকেটে ১৫২ রান করে বরিশাল। খুলনার শহিদুল চারটি, শফিউল ও হাসান মাহমুদ দুইটি এবং সাকিব একটি উইকেট নেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com